| শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪ | প্রিন্ট | 25 বার পঠিত
আগের চেয়ে ক্রয়াদেশ বেড়েছে বাংলাদেশি হোমটেক্সটাইলের। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যে দেখা যায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে রফতানি কমেছে ২৫.৯৮ শতাংশ। তবে বর্তমানে রফতানিকারকরা দাবি করছেন, আগের চেয়ে এখন উন্নত পরিস্থিতি।
বাংলাদেশের রফতানিমুখী কারখানায় তৈরি হয় বিছানার চাদর বা বেড লিনেন, কিচেন ও টয়লেট লিনেনের মতো হোমটেক্সটাইল পণ্য। ইপিবির দাবি অনুযায়ী, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরেও ১ বিলিয়নের বেশি বা ১০৯ কোটি ৫২ লাখ ডলারের হোমটেক্সটাইল পণ্য রফতানি হয়েছে। এ ক্যাটাগরির পণ্যের মধ্যে আরো রয়েছে টেন্ট বা তাঁবু, নিউ র্যাগস, স্ক্র্যাপ টোয়াইন।
হোমটেক্সটাইলের ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান বা বায়ার মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়নের। প্রায় ৬০ শতাংশই তারা নেয়। সবচেয়ে বড় ক্রেতা আইকিয়া। তারপর এইচএনএম, প্রাইমার, নিডেল, ওয়ালমার্ট। আর ছোটখাটো ২০০-৩০০ ক্রেতা আছে।
হোমটেক্সটাইল প্রস্তুত ও রফতানিকারক নোমান গ্রুপ সূত্রে জানা গেছে, কারখানা পূর্ণ সক্ষমতায় সচল রাখতে পারলে বছরে ১.০২ বিলিয়ন ডলারের রফতানি করতে পারে গ্রুপটি। দক্ষিণ এশিয়ায় এত বড় ক্যাপাসিটি আর কোনো কারখানা নেই বলে দাবি করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্তাব্যক্তিরা।
তারা জানিয়েছেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির রফতানি ছিল ১২০ কোটি ডলারের। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা ৬৫-৭০ কোটিতে নেমে আসে। চলতি অর্থবছরে পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে বলে জানিয়েছেন নোমান গ্রুপসংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ব্যবসা ও ক্রয়াদেশ পরিস্থিতি এখন আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে। এখন রেমিট্যান্স একটু বেড়েছে। প্রসিড আসা বাড়ছে।
তিনি বলেন, বিশ্বে এখন মুদ্রাস্ফীতি কমছে। বাংলাদেশেও মূল্যস্ফীতি কমানোর চেষ্টা চলছে। সামগ্রিকভাবে আগের চেয়ে এখন উন্নত পরিস্থিতি। হোমটেক্সটাইলের ক্রয়াদেশও আগের চেয়ে বেড়েছে। সবই বেড়েছে, কিন্তু দাম না। দাম দেয় না। বায়াররা মূল্য দেয় না।’
Posted ৯:২৫ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪
bankbimaarthonity.com | saed khan